বীরচন্দ্র গণ-পাঠাগার
ইতিহাস
বীরচন্দ্র গণ-পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে ১০ বিঘা জমির ওপর নিজ অর্থায়নে এ ভবন নির্মাণ করেন। এটিই কুমিল্লা টাউন হল নামে পরিচিত। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে টাউন হলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
টাউন হলের মাঠ থেকেই কুমিল্লায় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালিত হত। এক সময় এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। যিনি পাকিস্তান গণ-পরিষদে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলনে তার অবদান জাতি বিশেষ শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধেও তার ব্যাপক অবদান ছিল।
পাঠাগারের বিবরণ
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে একটি পরিচালনা পরিষদ টাউন হল পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে এর সাধারণ সদস্য সংখ্যা এক হাজার। টাউন হলে দুটি বিভাগ রয়েছে। একটি গণপাঠাগার, অন্যটি নগর মিলনায়তন। এর মধ্যে পাঠাগারের নিয়মিত সদস্য সংখ্যা ৬০০। আজীবন সদস্য ১৪ জন। পাঠাগারে এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকাসহ বিভিন্ন ভাষায় রচিত প্রায় ২৪ হাজার বই রয়েছে। ৬৩টি আলমিরায় বইগুলো সজ্জিত। সমৃদ্ধ এই পাঠাগারে উৎসাহী পাঠক যে কোনো সময় পড়ার সুযোগ পান। হলের নিচ তলায় রয়েছে দৈনিক পত্রিকা পড়ার জন্য একটি রিডিং রুম। যেখানে ৪৪টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক ও সাময়িকী রাখা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস